ভারতের জালে গোলের আনন্দে ডানা মেলার সুযোগ এসেছিল মজিবুর রহমান জনি, মোহাম্মদ হৃদয়, শাহরিয়ার ইমন, রাকিব হোসেনদের সামনে। কেউ পারেননি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়া কোচ কাবরেরার কন্ঠে শোনা গেল সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ।
২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের চিত্র রকম হতেই পারত। ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা নিয়ে হতাশা থাকলেও শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে তাদের মাঠে এতো সুযোগ তৈরি করতে পারা নিয়ে তার সন্তুষ্টিও কম নয়।
“হ্যাঁ, কিন্তু আপনারা যদি রাকিবকে দেখেন, সে যেটা করেছে… কেবল আমাদের নয়, সব দলেরই স্কোরার দরকার। রাকিব, জনি, হৃদয় সবাই সুযোগ পেয়েছে। ইমনও সুযোগ পেয়েছে। সেট পিস থেকেও কিছু সুযোগ এসেছে। আমাদের সেরা সব স্ট্রাইকার আছে, অবশ্যই আমরা এই দিকটা নিয়ে কাজ করব। অবশ্যই আমাদের আরও বেশি ফিনিশার দরকার।
“আমরা অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি। আমি ঠিক জানি না, কতগুলো, ৪-৫টার মতো। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কোনোটাই কাজে লাগাতে পারিনি। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে ভারতের মাঠে যে সুযোগগুলো তৈরি করেছি, সেগুলো নিয়েও।”
বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে ভারত ছাড়াও আছে সিঙ্গাপুর ও হংকং। শিলংয়ের ড্রয়ে এখন বাছাই পেরুনো নিয়েও আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ।
“এই গ্রুপে ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু এখন আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে, এশিয়ার কাপে বাছাইয়ের যোগ্যতা আমাদেরও আছে। এখন আমাদের এটাই বিশ্বাস করতে হবে।”
গত বছর খেলা প্রতিযোগিতামূলক আট ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করেছিল মাত্র ৩টি। এর মধ্যে কেবল একটি ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিনের। বাকি দুটি মিডফিল্ডার মজিবুর রহমান জনি ও পাপন সিংয়ের। কোচের লক্ষ্য পূরণ করতে গোলমুখে আরও কার্যকর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।