বাংলাদেশ নারী ফুটবলে চলমান টানাপোড়েনের সমাধানের বিষয়ে বাফুফে থেকে আশ্বাস মিললেও পরিস্থিতি এখনো জটিল। গত রোববার সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ জানিয়েছিলেন, বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সমাধান হবে। তবে বাস্তবে কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যায়নি।
বিদ্রোহের কেন্দ্রে থাকা কোচ পিটার জেমস বাটলার সোমবার ভোরে ৩৫ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে অনুশীলন করেছেন। দুপুরে নিয়মিত জিম সেশনও হয়েছে। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা এবং মাসুরা পারভীনসহ ১৮ জন সাফজয়ী ফুটবলার এই অনুশীলনে যোগ দেননি।
বাংলাদেশ নারী দল আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচ খেলবে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২ মার্চ। উভয় ম্যাচই প্রতিপক্ষের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনুশীলনে না থাকায় এই দুই ম্যাচে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
বাফুফে ক্যাম্পে থাকলেও ছুটির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন কয়েকজন খেলোয়াড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাফজয়ী মিডফিল্ডার বলেন, “আমাদের কোনো ছুটির কথা বলা হয়নি। ক্যাম্পে আছি। আমাদের চাওয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছি।”
এক বিদ্রোহী ফরোয়ার্ড জানান, “উৎকণ্ঠা বাড়ছে, তবে আমাদের কিছু করার নেই। নিজেদের অবস্থান থেকে সরব না। সমাধান যদি হয়, ভালোই হবে।”
তবে সমাধান যা-ই হোক, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও কোনো কার্যকরী সিদ্ধান্ত জানায়নি বাফুফে। সভাপতি তাবিথ আউয়ালের লন্ডন সফরের প্রস্তুতির মধ্যেও সংকট সমাধানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আশাবাদ প্রকাশ করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি রীতিমতো হ-য-ব-র-ল হয়ে আছে।