আক্রমণে চেপে ধরলেও শেষ হাসি হেসেছে ইন্টার মিলান। বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল বাভারিয়ানরা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা আর ইন্টারের সুনিপুণ পরিকল্পনায় শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখতে হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দলকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২-১ গোলের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
প্রথম থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছিল বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণে ইন্টারের রক্ষণকে নাস্তানাবুদ করলেও কোনোভাবেই বল জালে পাঠানো যাচ্ছিল না। একাধিকবার ক্রসবার বা পোস্টে লেগে ফিরে আসে বায়ার্নের শট, আবার কখনো প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের দৃঢ়তায় হতাশ হতে হয়। সেই যে সুযোগ হাতছাড়া, সেটারই খেসারত গুণতে হয় পরে।
মাঠে চাপের মাঝেও হঠাৎ করেই সুযোগ তৈরি করে ইন্টার মিলান। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে লাউতারো মার্তিনেসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। এই গোল যেন ম্যাচের গতিপথই বদলে দেয়। বিরতির পর বায়ার্ন আরও মরিয়া হয়ে উঠে সমতায় ফিরতে, তবে মাঝমাঠে এবং আক্রমণে জুতসই সমন্বয়ের অভাবে খেই হারিয়ে ফেলে তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ কোম্পানি একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন এনে আক্রমণকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। বদলি হিসেবে নামানো হয় অভিজ্ঞ টমাস মুলারকে, যিনি ম্যাচের শেষদিকে দলকে এনে দেন সমতা। কিন্তু সেই আনন্দ ছিল ক্ষণিকের।
সমতায় ফেরার মাত্র তিন মিনিট পরই ফের বড় ধাক্কা খায় বায়ার্ন। ইন্টারের পরিকল্পিত এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণচেরা পাস থেকে দাভিদে ফ্রাত্তেস লক্ষ্যভেদ করে ফের দলকে এগিয়ে দেন। এই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে যায়।
ইউরোপিয়ান আসরে দীর্ঘদিন পর নিজেদের মাঠে হারের তেতো স্বাদ নিতে হলো বায়ার্নকে। শেষবার তারা ঘরের মাঠে হেরেছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে, সেবার প্রতিপক্ষ ছিল পিএসজি। এবার ইন্টারের কাছে হার মানায় সেই দীর্ঘ ২২ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থেমে গেল।
আগামী ১৬ এপ্রিল দ্বিতীয় লেগে ইন্টারের মাঠ সান সিরোতে আবার মুখোমুখি হবে দুই দল। সেখানে কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বায়ার্ন—চ্যালেঞ্জটা এখন তাদের জন্য কঠিনই।