ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও বোলিং নৈপুণ্যে ৫৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে তারা। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈম শেখের বিধ্বংসী ইনিংসের পর শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও ইরফান শুক্কুরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০৮ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৭৯ রানের লড়াকু ইনিংসও হার এড়াতে পারেনি ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
নাঈম-শামীমের তাণ্ডবে বিশাল স্কোর প্রাইম ব্যাংকের
টসে জিতে প্রাইম ব্যাংককে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। কিন্তু শুরুটা তাদের জন্য ভালো হয়নি, কারণ প্রথম ওভারেই নাঈম শেখ ঝড় তোলে তুলে নেন ২৬ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৮ বলে ৩৭ রান করে বিদায় নেন নাঈম।
এরপর সাব্বির হোসেন ও জাকির হাসান ধীরে এগিয়ে নেন ইনিংস। সাব্বির ৭০ বলে ৫০ রান করে আউট হলে ১১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। চার নম্বরে নেমে ২৬ বলে মাত্র ১৪ রান করেন শাহাদাত হোসেন দিপু।
জাকির কিছুটা স্থিতিশীল ব্যাটিং করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৮৬ বলে ৬৪ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ইরফান শুক্কুর ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী শেষের দিকে ৬২ বলে ৯৬ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন। ইরফান ৫২ বলে ৫৬ রান, আর শামীম ৩৭ বলে ৬২ রান করেন।
ধানমন্ডির হয়ে মইন খান ৩টি, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও হাসান মুরাদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
ফজলে রাব্বির লড়াই, কিন্তু হার এড়াতে পারেনি ধানমন্ডি
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ধানমন্ডি। মাত্র ১০ রানে ৮ বলে ৪ রান করা হাবিবুর রহমান সাজঘরে ফেরেন। এরপর জাকিরুল আহমেদও ২৭ বলে ১৯ রান করে আউট হন।
এক পর্যায়ে ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও ইয়াসির আলী ১২৫ রানের মধ্যে দলকে টেনে আনেন। ফিফটির পথে থাকলেও ৫৬ বলে ৪৬ রান করে বিদায় নেন ইয়াসির। এরপর ধানমন্ডির ব্যাটিং ধসে পড়ে। নুরুল হাসান সোহান (৮ বলে ৮) ও মইন খান (১৩ বলে ৭) ব্যর্থ হন।
প্রান্ত আগলে রেখে ১০৪ বলে ৭৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তবে তার সেই লড়াই শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষদিকে জিয়াউর রহমান (২৩ বলে ১৭) ও সানজামুল ইসলাম (৩০ বলে ৩৭) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
প্রাইম ব্যাংকের বোলিংয়ে সহজ জয়
শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২৫৩ রানেই গুটিয়ে যায় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। ফলে ৫৫ রানের সহজ জয় তুলে নেয় প্রাইম ব্যাংক।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাসান মাহমুদ ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। সৈয়দ খালেদ আহমেদ ২টি ও শাহাদাত হোসেন দিপু ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ১টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আরও শক্ত অবস্থানে চলে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।