পিএসজির মাঠে ম্যাচ শুরুর আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মাথায় আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে চুল রাঙিয়ে মাঠে নামা যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের লুসাইলের সেই বীরত্বের রাতকে। কিন্তু এই রাতে বীরত্ব দেখাতে পারলেন না তিনি। লড়লেন ঠিকই, কয়েকবার বাঁচালেনও দলকে, তবে শেষরক্ষা হয়নি। পিএসজির মাঠ থেকে তিন গোল হজম করে হার নিয়েই ফিরতে হলো অ্যাস্টন ভিলাকে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে প্যারিসে পিএসজির বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটেই পড়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। ম্যাচের শুরুতে দারুণ কিছু সেভে আলো ছড়ালেও, দ্বিতীয়ার্ধে মার্তিনেসের সেই দেয়াল ভেঙে একে একে জালের দেখা পান পিএসজির তিন তারকা—দিজিরে দুয়ে, খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া ও নুনো মেন্দেস।
ম্যাচে যদিও প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। ম্যাচের ধারার বিপরীতে এক গোছানো প্রতি-আক্রমণে মরগ্যান রজার্সের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে চমকে দেয় ভিলা। তবে সেই আনন্দ টিকল খুব বেশি সময় নয়। খুব দ্রুতই সমতায় ফেরে পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের দাপট আরও জোরালো করে তোলে ফরাসি জায়ান্টরা।
ম্যাচজুড়েই বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল পিএসজির আধিপত্য। প্রথমার্ধে তাদের পজেশন ছিল প্রায় তিন চতুর্থাংশ সময়জুড়ে। আক্রমণে ধারাবাহিক চাপ বজায় রেখেও কিছু সময় গোল না পেলেও ধৈর্য হারায়নি লুইস এনরিকে’র দল। ফলাফল আসে দ্বিতীয়ার্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধের একের পর এক আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ভিলার রক্ষণভাগ। মার্তিনেস কিছু দারুণ সেভ করলেও সবকিছু রক্ষা করতে পারেননি। যোগ করা সময়ে পিএসজির তৃতীয় গোলটি কার্যত ম্যাচের ময়নাতদন্ত করে দেয়। সেমিফাইনালে ওঠার পথে শক্ত ভিত গড়ে নেয় ফরাসি ক্লাবটি।
তবে সব শেষ হয়ে যায়নি এখনও। আগামী বুধবার ফিরতি লেগে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে লড়বে দুই দল। সেখানেই ঠিক হবে কারা জায়গা করে নেবে শেষ চারে। তবে এখনই পরিষ্কার—ভিলার জন্য সেটা হবে বেশ কঠিন লড়াই।