নারী ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ক্যাম্পে থাকা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে চুক্তিভুক্ত করেছে ফেডারেশন।
কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অভিযোগ’ তোলা ১৮ জন ফুটবলারকেও চুক্তির মধ্যে রাখার পরিকল্পনা বাফুফের। তবে সমস্যা সমাধানের জন্য বলটা এবার (বিদ্রোহী) মেয়েদের কোর্টেই ঠেলে দিল বাফুফে।
সব মিলিয়ে ৫৫ জন নারী ফুটবলারকে চুক্তির আওতায় আনার পরিকল্পনা দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির।সংস্থাটির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেছেন অনেকের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি।
“বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আজ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ৩৬ জন ফুটবলারের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। মোট ৫৫ জনের চুক্তিপত্র তৈরি করেছে বাফুফে। বাকী ফুটবলারদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে।”
‘বাকি ফুটবলার’-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যারা অনুশীলন করছে না, তারাও বাফুফের বিবেচনায় আছে। এখন দেখা যাক, তারা কী করেন। তবে বাফুফে তাদের সাথেও চুক্তি করতে চায়।”
চুক্তি হওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২০২৪ সাফ জয়ী দলের সদস্য সাত জন- আফঈদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার রিপা, কোহাতি কিসকু, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার ও ইয়ারজান বেগম। বাকিরা অনূর্ধ্ব-২০ দলের।
বর্তমানে যে ৩৭ জনকে নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন পিটার, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন খেলোয়াড় কেবল চুক্তির বিবেচনায় আসেননি বলে জানালেন একজন টিম অফিসিয়াল।
“দেখলাম মেয়েরা চুক্তিপত্রে সাক্ষর করছে। বর্তমানে অনুশীলন করাদের মধ্যে বিকেএসপির একজন গোলরক্ষক, সোনালী নাম, তার সাথেই কেবল চুক্তি হচ্ছে না। সে একেবারেই তরুণ। আশা করি, ভবিষ্যতে সেও চুক্তির মধ্যে চলে আসবে।”
খেলোয়াড়দের সাথে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত অক্টোবরে। ওই চুক্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কেউ ৫০ হাজার, কেউ ৩০ হাজার এবং ২০ ও ১৮ হাজার করে প্রতিমাসে টাকা পেতেন। এবারের চুক্তির ক্যাটাগরি এবং আর্থিক অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে বাফুফের ওই অফিসিয়াল বলেন, “চুক্তির বিস্তারিত সভাপতি বলবেন আগামীকাল।”
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার লন্ডনে যাওয়ার কথা। তার আগেই চলমান অচলাবস্থার সমাধান ও চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পন্ন করতে চাইছে বাফুফে। সংস্থাটির সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফও রোববার বলেছিলেন, সভাপতি লন্ডনে যাওয়ার আগে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন তারা।
সব মিলিয়ে বল এখন ‘বিদ্রোহী’ ১৮ ফুটবলারের কোর্টে। কেননা, চুক্তি হারালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সাবিনা-মারিয়াদের বাফুফে ভবনে চলা ক্যাম্পে থাকাটাও পড়বে অনিশ্চয়তায়। পিটারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও বর্তমানে তারা ক্যাম্পেই আছেন।