বিপিএল টিকিট বিক্রির মাধ্যমে এবার রেকর্ড প্রায় সোয়া ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে বিসিবি, যা অতীতের সব আসরের সম্মিলিত আয় থেকেও বেশি। তাই প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে লভ্যাংশ ভাগ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিপিএল শেষ হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ বণ্টন করা হয়নি। এর পেছনে কিছু বাস্তবিক এবং যৌক্তিক কারণ রয়েছে, তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও কোনো অভিযোগ করছে না। তবে, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আগে নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যে, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছে কিনা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বকেয়া আছে কিনা।
এখনো দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগাং কিংস তাদের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছে, তবে অন্যান্য দলের মধ্যে বেশিরভাগই পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছে। এজন্য টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ ভাগাভাগির আগে বিসিবি সতর্কতার সাথে সব খোঁজখবর নিচ্ছে। এক সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে এবং ক্রিকেটারদের পাওনা বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই লভ্যাংশ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, “বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।” এবারের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল পাবে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, রানার্স আপ চিটাগাং কিংস পাবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অর্জনকারী খুলনা টাইগার্স এবং রংপুর রাইডার্স যথাক্রমে ৬০ লাখ এবং ৪০ লাখ টাকা পাবে।