ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ তিনটি ম্যাচ। দিনের শুরু থেকেই ছিল রানের ছড়াছড়ি, আবার শেষ মুহূর্তে দেখা গেছে নাটকীয় উত্তেজনাও। বিকেএসপির দুটি মাঠ ও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মোট ছয় দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিনটিতে জয় হাসল মোহামেডান, আবাহনী এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। নির্ধারিত ওভারে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে মোহামেডান তোলে ২৮৭ রান। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, খেলেন ৭৫ রানের কার্যকরী ইনিংস। সঙ্গে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬৪ রান দলকে পুঁজি এনে দেয় বড় সংগ্রহের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক পড়ে যায় চাপে। একপ্রান্ত আগলে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকান তরুণ অমিত হাসান। তার ১০৫ রানের চোখধাঁধানো ইনিংসও হার এড়াতে পারেনি দলকে। ২১৩ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। এবাদত হোসেনের তাণ্ডবে তিন উইকেট হারায় তারা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
অন্যদিকে, বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আবাহনী লিমিটেড দেখিয়েছে দাপট। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় হান্নান সরকারের দল। ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের বড় স্কোর গড়ে আবাহনী।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তেমন কোনও জবাব দিতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। নাঈম শেখ খেলেন লড়াকু ৭৩ রানের ইনিংস, শামীম পাটোয়ারীর ব্যাট থেকেও আসে ৪০ রান। তবে দলীয় ব্যর্থতায় তা যথেষ্ট হয়নি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বোলিং ছিল প্রভাবশালী, তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দেন তিনি।
দিনের শেষ ম্যাচ ছিল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে—যেখানে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব মুখোমুখি হয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের। অপেক্ষাকৃত কম রানের ম্যাচ হলেও জমজমাট ছিল লড়াই। গুলশানের ১৭৮ রানের জবাবে শেষ ওভার পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা থাকে।
শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে থেমে যায় শাইনপুকুর। মাত্র ৬ রানে নাটকীয় জয় তুলে নেয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, আর ডিপিএলের এই দিনটি হয়ে থাকে উত্তেজনায় ভরপুর এক ক্রিকেট উৎসব।