প্রথম লেগে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন দেখাল ফ্রান্স। রবিবার স্টেড দে ফ্রান্সে দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৪ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে দিদিয়ের দেশঁর দল। টাইব্রেকারে নির্ণায়ক শটটি নেন দায়ো উপামেকানো, আর ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মেনিয়ান দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন।
ম্যাচজুড়ে ফ্রান্স একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে। ১২০ মিনিটে তাদের ২২টি শট ছিল, যেখানে ক্রোয়েশিয়া একটিও অন টার্গেট শট নিতে পারেনি। প্রথম লেগে বাজে পারফরম্যান্সের পর এবার ফরাসিরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে, শুরু থেকেই উচ্চ প্রেসিংয়ে ক্রোয়েশিয়াকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। তবে প্রথমার্ধে চেষ্টার পরও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।
ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটেই ফ্রান্সের আটটি আক্রমণ ছিল, ১৬তম মিনিটে অরেলিয়েন চুয়ামেনির হেড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্র্যাডলি বারকোলার শট ডমিনিক লিভাকোভিচ দারুণ সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের অপেক্ষার অবসান ঘটে ৫২তম মিনিটে। পুরো ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকা মাইকেল ওলিসে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন।
এরপরও ফ্রান্স একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায়। ৮০তম মিনিটে দেম্বেলের গোল দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। এমবাপ্পের সঙ্গে ওলিসের দারুণ ওয়ান-টু পাসের পর তার কাটব্যাক থেকে সহজেই গোল করেন দেম্বেলে।
অতিরিক্ত সময়ে বদলি খেলোয়াড় দেজিরে দোয়ে লিভাকোভিচকে দুবার পরীক্ষায় ফেলেন, আর এমবাপ্পের শটও দারুণভাবে রুখে দেন ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে ফ্রান্সের মেনিয়ান দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান।
পেনাল্টি শুটআউটে মেনিয়ান ক্রোয়েশিয়ার মার্টিন বাতুরিনা ও জোসিপ স্তানিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন, আর ফ্রাঞ্জো ইভানোভিচের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে, চুয়ামেনি, র্যান্ডাল কলো মুয়ানি, দোয়ে ও শেষ শটটি নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন উপামেকানো।
“আমরা জানতাম আজকের রাতটা আমাদের হতে পারে,” বলেন এমবাপ্পে। “এই ম্যাচটা আমাদের দরকার ছিল সমর্থকদের ভালোবাসা ফিরে পেতে।”
ফ্রান্সের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ স্পেন, যারা নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে। ৫ জুন স্টুটগার্টে হবে এই হাইভোল্টেজ লড়াই।