ওয়েলিংটনে সিরিজের শেষ ম্যাচেও পাকিস্তানকে দাঁড়াতে দিল না নিউজিল্যান্ড। পেস বোলিং অলরাউন্ডার জেমি নিশামের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্বাগতিকরা পাকিস্তানকে আটকে দেয় মাত্র ১২৮ রানে। এরপর ওপেনার টিম সাইফার্টের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা, জিতেছে ৮ উইকেটে।
ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ করল ৪-১ ব্যবধানে। নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রেখেও দারুণ পারফর্ম করেছে কিউইরা।
নিশামের বিধ্বংসী বোলিং
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। সিরিজে বাজে ফর্মে থাকা ওপেনার হাসান নাওয়াজ ফেরেন শূন্য রানে। মোহাম্মদ হারিস ১৭ বলে করেন মাত্র ১১ রান। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৭!
এরপর পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে ধস নামান নিশাম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আব্দুল সামাদকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর শাদাব খান (২৮), জাহানদাদ খান (১), সালমান আলি আগা (৫১) ও সুফিয়ান মুকিমকে আউট করে তুলে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় পাঁচটি উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচসেরা হয়েছেন।
সাইফার্টের ব্যাটিং তাণ্ডব, ১০ ওভারেই জয় নিশ্চিত
মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই পাকিস্তান বোলারদের তুলোধোনা করেন টিম সাইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তোলে ৯২ রান—টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ।
সাইফার্ট ৩৮ বলে ৯৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ১০ ছক্কা ও ৬ চারে। শাদাব খানের এক ওভারে পরপর তিন ছক্কায় ম্যাচ শেষ করেন তিনি। অ্যালেনও ঝড়ো ২৭ রান করেন মাত্র ১২ বলে।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল নিউ জিল্যান্ড। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন সাইফার্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১২৮/৯ (২০ ওভার) – সালমান ৫১, শাদাব ২৮, নিশাম ৫/২২
নিউ জিল্যান্ড: ১৩১/২ (১০ ওভার) – সাইফার্ট ৯৭*, অ্যালেন ২৭, মুকিম ২/৬
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৪-১ ব্যবধানে নিউ জিল্যান্ড জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জেমস নিশাম
ম্যান অব দ্য সিরিজ: টিম সাইফার্ট