পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই করাচি কিংস জেমস ভিন্সকে এবং মুলতান সুলতানস ক্রিস জর্ডান ও ডেভিড উইলিকে রিটেইন করেছে। ১৩ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত ড্রাফট থেকে ইংল্যান্ডের আরও তিন ক্রিকেটার দল পেয়েছেন। পেশোয়ার জালমিরে যোগ দিয়েছেন টম কোহলার-ক্যাডমোর এবং লাহোর কালান্দার্সে খেলবেন স্যাম বিলিংস ও কম কারান। তবে, ৬ ইংলিশ ক্রিকেটার দল পেলেও পিএসএলে খেলার নিশ্চয়তা নেই, কারণ ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) গত নভেম্বরে বিদেশি লিগে খেলার বিষয়ে কঠোর নিয়ম চালু করেছে।
ইসিবির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুম চলাকালীন সময় অন্যান্য বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) প্রদান করা হবে না। পিএসএল ২০২৫ এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে, যা ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সময়ের মধ্যে পড়বে। ফলে ইংলিশ ক্রিকেটারদের জন্য বিদেশি লিগে খেলা আরও কঠিন হয়ে উঠবে, বিশেষ করে যদি তাদের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক হয়।
তবে, ক্রিকেটারদের কিছু আশা রয়েছে। যারা কাউন্টিতে সাদা বলের চুক্তি রয়েছে, তাদের পিএসএল খেলার জন্য এনওসি দেওয়ার ব্যাপারে শর্তাবলী রয়েছে, যদি তা টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট বা দ্য হান্ড্রেডের সঙ্গে সংঘর্ষ না করে। সেক্ষেত্রে বিলিংস, কারান, জর্ডান এবং উইলি পিএসএলে খেলার জন্য এনওসি পেতে পারেন।
কোহলার-ক্যাডমোর এবং ভিন্সের পরিস্থিতি একটু আলাদা, কারণ তারা সব সংস্করণের চুক্তিতে রয়েছে এবং পিএসএলে পুরো মৌসুম খেলে তাদের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তত ছয়টি ম্যাচ মিস হবে। এজন্য তাদের চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। বর্তমানে এনওসি নিয়ে স্পষ্টতা চাচ্ছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা, যারা পিএসএলে অংশ নিতে চান।
ইএসপিএন ক্রিকইফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের ৬ কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার ড্রাফটে নাম দিয়েছিলেন, কিন্তু ড্রাফটের আগে পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা পিএসএলে খেলতে প্রস্তুত। এছাড়া, তালিকায় ছিলেন জনি বেয়ারস্টো এবং আদিল রশিদ, যারা ইংল্যান্ডের সাদা বলের বিশেষজ্ঞ।