পুরুষ হিসেবে বয়ঃসন্ধি পার করা ট্রান্সজেন্ডার নারীরা আগামী বছর থেকে শীর্ষস্থানীয় নারী গলফ টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতা করতে পারবেন না।
এটি ইউনাইটেড স্টেটস গলফ অ্যাসোসিয়েশনের (USGA) নারী গলফ ইভেন্ট, যেমন ইউএস উইমেন্স ওপেন, এবং অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের টুর্নামেন্টে প্রযোজ্য হবে। এর ফলে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া আমেরিকান ট্রান্সজেন্ডার গলফার হেইলি ডেভিডসনের জন্য এলপিজিএ ট্যুরের সদস্যপদ লাভ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
৩১ বছর বয়সী ডেভিডসন, যিনি পুরুষদের কলেজ গলফ খেলার পর লিঙ্গ পরিবর্তন করেন, অক্টোবরে এলপিজিএ কিউ স্কুলের দ্বিতীয় ধাপে ৯৫তম স্থানে শেষ করেন। এতে তিনি নারী গলফ ট্যুরে যোগদানের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হন।
ডেভিডসনের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যেখানে ২৭৫ জন নারী খেলোয়াড় এলপিজিএর নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এই নীতিমালা জন্মগতভাবে পুরুষ খেলোয়াড়দের নারী ইভেন্টে অংশগ্রহণের অনুমতি দিত।
পূর্বে, বয়ঃসন্ধির পর লিঙ্গ পরিবর্তন অস্ত্রোপচার ও হরমোন থেরাপি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল। তবে নতুন নীতিমালায় এই নিয়ম কঠোর করা হয়েছে। এলপিজিএ এক বিবৃতিতে জানায়, “২০২৫ মৌসুম থেকে প্রতিযোগিতার যোগ্যতা সম্পর্কিত লিঙ্গ নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।”
এই নীতিমালা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রণীত হয়েছে এবং বয়ঃসন্ধির সময় পুরুষদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে তাদের ক্রীড়া দক্ষতায় যে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাওয়া যায়, তা বিবেচনা করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম এলপিজিএ ট্যুর, এপসন ট্যুর এবং লেডিস ইউরোপিয়ান ট্যুরসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় প্রযোজ্য।
এ বিষয়ে ডেভিডসন ইনস্টাগ্রামে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এটা যে ঘটবে না তা আমি জানতাম। এপসন এবং এলপিজিএ থেকে আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবার নীরবতা এবং নিরপেক্ষ থাকার প্রবণতার জন্য ধন্যবাদ।”
এলপিজিএ-র এই পরিবর্তন অন্যান্য খেলাধুলার সংগঠনগুলোর মতোই, যারা বয়ঃসন্ধির পর লিঙ্গ পরিবর্তন করা ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নারী বিভাগে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।