বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের অধিনায়ক মেহরাব হাসান দেশের হকির আর্থিক সংকট ও খেলোয়াড়দের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। ওমানের মাসকটে এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকি টুর্নামেন্টে থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এমন ঐতিহাসিক সাফল্যের পরও মেহরাবের কণ্ঠে ছিল বঞ্চনার গল্প।
মাসকট থেকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহরাব জানান, হকিতে খেলে যৎসামান্য পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। ক্যাম্প চলাকালে খেলোয়াড়রা দিনে মাত্র ৪০০ টাকা হাতখরচ পান, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই অপ্রতুল। এমনকি বিদেশ সফরে দৈনিক ভাতা মাত্র ১,০০০ টাকা। পরিবারের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়েই অনেক সময় খেলোয়াড়দের চলতে হয়। তিনি ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান।
অন্যদিকে, হকি ফেডারেশনের আর্থিক সংকট দীর্ঘদিনের। বিকেএসপিতে আড়াই মাসের ক্যাম্প আয়োজন করতে ফেডারেশনের সভাপতি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ কারণেই খেলোয়াড়রা টানা অনুশীলন করতে পেরেছেন।
মেহরাব মনে করেন, দেশের হকিতে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভালো ফলাফল করেছি, যেন পৃষ্ঠপোষকরা হকিতে আগ্রহ দেখায়। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পর আশা করি আমাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।’’
তিনি আরও চান, ফুটবল-ক্রিকেটের মতো হকিতেও সাফল্য উদযাপন হোক। নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ চালু করা গেলে খেলোয়াড়দের উন্নতি হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের এই ছাত্র। দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য তিনি সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।